গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: হাসিনা

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2014, 01:11 PM
Updated : 28 July 2014, 02:01 PM

সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরি বৈঠকের শুরুতে বক্তব্যে তিনি ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, “সারাবিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর প্রতি আমি এই আহবানই জানাব, এই ধরনের হতাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। প্রতিবাদ করা উচিত।”

গাজায় গত গত ২০ দিনের ইসরায়েলি হামলায় সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নিরীহ মানুষ। 

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৬৯ জন ফিলিস্তিনি তাদের পরিচালিত স্কুল ও দপ্তরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

“এটা আমাদের দাবি, এই গণহত্যা অচিরেই বন্ধ করা। আর, এই নারী-শিশু এবং সাধারণ মানুষের ওপর এভাবে আক্রমণ করা, বিমান হামলা চালানো- এটা জঘন্য, ঘৃণ্য কাজ।”

গাজা অভিযানে বীভৎসতার কথা তুলে ধরে ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “প্যালেস্টাইনে আমাদের ভাই-বোন, বিশেষ করে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে বা হত্যা করা হচ্ছে- এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়, এটা মেনেও নেয়া যায় না।

“আজকে ইসরাইল যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, পবিত্র রমজান মাসে রক্ত নিয়ে এভাবে হোলি খেলা- এটা কোনো মুসলমানের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না।”

“এই রমজান মাস, সামনে ঈদ- এসময় কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এটা হচ্ছে সব থেকে দুঃখজনক।”

আওয়ামী লীগ সব সময়ই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সব সময় আমাদের প্যালেস্টাইনি ভাই-বোনদের সাথে আছি, আমরা থাকব এবং আমরা এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাই।”

বিভিন্ন রাষ্ট্র বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকলেও গাজা হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের নীরবতায় বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “মানবাধিকার নিয়ে যেসব দেশ এত সোচ্চার, তারা এখন কী করে চুপ থাকে? সেটাও আমার প্রশ্ন। তাদের কি বিবেক বলে কিছু নেই?”

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের নৃশংস হামলার পরও বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মীদের ‘নীরবতা’ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
“আমাদের দেশের মানবাধিকারকর্মীদের কাছে বলব, একটা খুন হলে- এত চিৎকার করে, তারা কেউ সোচ্চার না। এটাও আমার কাছে একটু অবাক লাগছে।”

“এই ভাবে ছোট ছোট শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু, এই ব্যাপারে কেউ, কোনো একটা কথা বলছে না। এখানে কি মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে না?”