দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সোমবার সোলায়মান শেঠকে দল থেকে বহিষ্কারের এই আদেশ দেন।
এরশাদের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, “আপনি পার্টির শৃঙ্খলা লংঘন করে পার্টির মহাসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এবং আপনার নেতৃত্বে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।
“আপনাকে জাতীয়পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রহুল আমিন হাওলাদারের সমর্থক হিসাবে পরিচিত।
কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সোলায়মান শেঠ গত শনিবার নিজেকে সভাপতি দাবি করে চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন।
ইফতারের আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি মহাসচিব বাবলুকে বেশি ‘বাড়াবাড়ি’ না করার আহ্বান জানান এবং তা না হলে তাকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুমকি দেন।
ইফতারের পর সোলায়মানের সমর্থকরা ওই হোটেলের সামনে বাবলুর কুশপুত্তলিকাও পোড়ায়।
এরশাদের চিঠিতে বলা হয়, “এ ধরনের আচরণ পার্টির শৃঙ্খলার সরাসরি লঙ্ঘন এবং পার্টি চেয়ারম্যানের এক্তিয়ারকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করার সামিল।”