মক্কায় বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হোটেল স্যুটে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে তার বড় ছেলে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বাংলাদেশের আর্থ সমাজিক উন্নয়নে আইডিবির আরো সহযোগিতা কামনা করেন বলে খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মারুফ কামাল বলেন, “বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষায় আইডিবির সহায়তা ও অবদানের প্রশংসা করেছেন বেগম জিয়া। তিনি আইডিবির প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন, এই সহযোগিতা যেন আরো বৃদ্ধি করা হয়।”
বৈঠকে আইডিবি প্রেসিডেন্ট মুসলিম উম্মার কল্যাণ ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আলোচনায় খালেদা জিয়াকে সহায়তা করেন সৌদি আরবে তার বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল হক চৌধুরী।
ইসলামী দেশগুলোর আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিবির সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায়।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শবে কদরের রাত (বৃহস্পতিবার) মক্কায় মসজিদুল হারামে এবাদত বন্দেগিতে কাটাবেন বলে জানিয়েছেন মারুফ কামাল।
তিনি বলেন, “ওমরাহ পালনের পর বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান মসজিদুল হারামে এবাদত বন্দেগীতে বসেছেন। তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে আদায় করেছেন। শবে কদরের রজনীতে তারা এখানে অবস্থান করবেন।”
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেদ্দা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। পরদিন শনিবার রাতে তার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় মেহমান হিসেবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যরা ওমরাহ পালন করেন। তারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন রয়েল প্যালেস ‘আশাফা’য় অবস্থান করছেন।
গত ২০ জুলাই খালেদা জিয়া সরাসরি মদিনা যান। লন্ডন থেকে রওনা হয়ে দুবাইয়ে মায়ের সঙ্গে মিলিত হন তারেক। মদিনায় তারা মহানবী (সা.) এর রওজা জিয়ারত করেন তারা।