বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে দলের পক্ষে থেকে এ বিষয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ২০১৩ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেয়ার আইনি (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিবের একান্ত সচিব মঈনউদ্দিন খান জানান, “দলের ২০১৩ সালের আয়-ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার জন্য আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বাড়াতে সিইসির কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। দলটির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দিয়েছে।”
ইতোমধ্যে অন্তত ১২টি দল তাদের আয়-ব্যয় বিবরণী জমা দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এখনো তাদের হিসাব জমা দেয়নি।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, “হিসাব দেয়ার এখনো কয়েক দিন সময় রয়েছে। যারা নির্দিষ্ট সময়ে দিতে পারবে না তাদের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।”
তবে ৩১ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন ছুটি থাকলে পরের কার্যদিবসে অফিস খোলার সময় পর্যন্ত তা জমা দেয়ার সুযোগ থাকছে।
২০০৮ সাল থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর অডিট রিপোর্ট দেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে তা বাড়ানো হয়েছে এর আগে।
প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। পরপর ৩ বছর কোনো দল এ হিসাব দিতে ব্যর্থ হলে সে দলের নিবন্ধন বাতিল করার বিধান রয়েছে।