সোমবার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের আদালতে এই আবেদন শুনানির জন্য আসবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
রোববার তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন এই আবেদন করেন। পরে আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
গত ১৪ জুলাই ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।
বসুন্ধরার আইটি বিশেষজ্ঞ সাব্বির হত্যা মামলার আসামিদের বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ১৪ জুলাই আদালত অভিযোগ গঠন করে। অপুর এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এদের মধ্যে তারেক, শাহ আলম ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সুফিয়ান ও সলিমুল হক জামিনে আছেন। বাবর আছেন কারাগারে।
অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই সাব্বির খুন হওয়ার পর আসামি সাফিয়াত সোবহান লন্ডনে পালিয়ে যান এবং তার বাবা আকবর সোবহান ছেলেকে বাঁচাতে নানামুখী তদবির শুরু করেন। এ কারণে মামলার তদন্তে স্থবিরতা দেখা দেয়।
এরপর তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর আসামিকে বাঁচানোর জন্য ৫০ কোটি টাকা ঘুষের রফা করে নিজে ৫ কোটি এবং সলিমুল হক কামালের সহায়তায় আরো ১৫ কোটি টাকাসহ ২০ কোটি টাকা ঘুষ নেন। আরেক আসামি তারেক রহমান ১ কোটি টাকা ঘুষ নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অপু বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিতর্কিত ‘হাওয়া ভবনের’ অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। ২০০৭ সালে ক্ষমতার পালাবদলের সময় তিনি মালয়েশিয়া চলে যান।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১২ জুন তারেক রহমানের মালয়েশিয়া সফরের সময় অপুই তাকে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। ১৩ জুন তারেক রহমান মালয়েশিয়া থেকে ফিরে যান লন্ডনে এবং ১৭ জুন ঢাকায় আসেন অপু।
পরদিন ১৮ জুন একটি চাঁদাবাজির মামলার আত্মসমর্পন করলে ঢাকার মহানগর ২ নম্বর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আতাউল হক জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। পরে ২৩ জুন তাকে ঘুষগ্রহণের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দায়রা আদালতে জামিন চাইলে ১৪ জুলাই তা খারিজ হয়। এরপর তিনি হাই কোর্টে আসেন ।