আর তা করতে না পারলে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা না ঘামাতেও ঢাকায় ওয়াশিংটনের হবু রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাটকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বার্নিকাট শুক্রবার বলেছেন, তিনি ঢাকার দায়িত্ব নেয়ার পর ওয়াশিংটনের নীতি ধরে কাজ এগিয়ে নেবেন।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সে লক্ষ্যে সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে, ওয়াশিংটনও সংলাপের পক্ষে।
বার্নিকাটের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী শনিবার তার নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল সংবিধানসম্মত ও আইনসম্মত।
“নির্বাচনে কেউ না এলে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়- এই কথাটা আমরা মানি না।”
নির্বাচন ঠেকানোর ডাক দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনাগুলো তুলে ধরে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “আপনারা নির্বাচনের পরামর্শ দেয়ার আগে, বেগম খালেদা জিয়াকে জামায়াত, হেফাজত, অন্তর্ঘাত ও নাশকতা ত্যাগ করার পরামর্শ দেন, সেটাই হবে মঙ্গলজনক।
“তারা যদি বেগম খালেদা জিয়াকে নাশকতা, অন্তর্ঘাত এবং জঙ্গিবাদীদের ত্যাগ করার পরামর্শ না দিতে পারেন, তবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া আমরাই রক্ষা করব। এব্যাপারে তাদের সহযোগিতা দরকার নেই।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সরকার ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
“যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা চলন্ত বাসে পেট্রোল ঢেলে দেয়া, চলন্ত ট্রেনের ঘুমন্ত যাত্রীকে মেরে ফেলায় জড়িত, অসংখ্য জায়গায় বোমাবাজির সাথে জড়িত এবং সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। যারা আন্দোলনের নামে, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান চলছে।
“পুলিশ বাহিনী সকাল-বিকাল মানুষ হত্যা করছে, এই অপবাদ খালেদা জিয়া দিচ্ছেন। এই অপবাদের মধ্য দিয়ে তিনি পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছেন।”
কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত সিংহ রায় প্রমুখ।