দেখবেন, ড. কামালকে দিয়ে কী হয়: মান্না

বিএনপির ‘পাশাপাশি’ গণতন্ত্র রক্ষায় ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের পর রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়ে ‘নিন্দুকদের’ প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

নিজস্ব প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2014, 03:56 PM
Updated : 20 July 2014, 05:37 AM

শুক্রবার রাজধানীতে এক ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান শেষে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না।

তিনি বলেন, “বিএনপি রোজার পর আন্দোলন করবে। রোজার পর আমরাও মাঠে নামব। আমাদের অভিভাবক ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে থাকবেন।

ফাইল ছবি

“যারা বলে যে কামাল হোসেনকে দিয়ে কিছু হবে না, তারা দেখবে ড. কামালকে দিয়ে কী হয়।”

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রোজার পর কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচির ঘোষণার হুমকি দিয়েছে বিএনপি।

একই দাবিতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন কি না- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা।

তিনি বলেন, “বিএনপি সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলন করছে। আমাদের উদ্দেশ্য দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করা।

“সংবিধানের যে সমস্ত ধারা প্রধানমন্ত্রীকে সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে কার্যত ক্ষমতাহীন করেছে, পার্লামেন্ট অকার্যকর করে রেখেছে সেই ধারাগুলো বাতিলই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।”

সংবিধানের এসব অগণতান্ত্রিক ধারা পরিবর্তিত না হলে পরে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও আওয়ামী লীগ শাসনামলে দেশের অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মান্না।

চলমান দশম সংসদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এটা কোনো পার্লামেন্ট নয়। এই পার্লামেন্টে ১৫৩ জন অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন। এটা কোনো সংসদ? এরা তো সবাই সঙ।”

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কালোটাকা ও কারচুপিমুক্ত অবাধ নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। দেখুন জনগণ প্রকৃত অর্থেই আপনাদের মেনে নিতে চায় কি না।”

নাগরিক ঐক্যের আন্দোলনে সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী মান্না বলেন, “আমাদের আন্দোলন সফল হবে। কারণ, জনগণ জানে, মাহমুদুর রহমান মান্না যখন কথা বলে, ড. কামাল হোসেন যখন কথা বলে, শাহদীন মালিক যখন কথা বলে, ড. আসিফ নজরুল যখন কথা বলে তখন তারা কোনো ধান্দাবাজি থেকে কথা বলে না।”