নাসিমের ভাই এ কে এম শামীম ওসমানকে ভোটে হারিয়ে নারায়ণগঞ্জের মেয়র হওয়া সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক রাব্বি বুধবার মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরুর দিন প্রথম দিনে প্রথম মনোনয়নপত্রটি কেনেন।
উপনির্বাচনে মেয়রের সমর্থন পাবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন যখন করছি, সবাই সমর্থন দেবে এটাই আমার আকাঙ্ক্ষা।
“তবে সময়ই বলে দেবে কে পাশে রইল, কে রইল না। এ নিয়ে আগেই মন্তব্য করতে চাই না।”
আইভীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনও এই উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী।
এছাড়া নাসিমের স্ত্রী পারভিন ওসমান, শামীমের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা খোকন সাহার নামও আলোচনায় রয়েছে।
মেয়র নির্বাচনে আইভীর কাছে হেরে যাওয়া শামীম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনটি থেকে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
রফিউর রাব্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামানের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র কেনার পর সাংবাদিকদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে গুম, খুন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ভোট করছেন তিনি।
সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এক বছর আগে নিজের স্কুলপড়ুয়া ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকীকে হারিয়েছিলেন রাব্বি। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ওসমান পরিবারের দিকে অভিযোগ তার।
এরপর থেকে ‘সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ’ গঠন করে আন্দোলনে সক্রিয় রাব্বি। তিনি এর আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন, যাদের আন্দোলনে মেয়র আইভীর সমর্থনও রয়েছে।
ত্বকী হত্যার এক বছরের মাথায় সাত খুন নিয়ে সারাদেশে আলোচনায় থাকা নারায়ণগঞ্জ নগরীর আসনটিতে প্রার্থী হতে যাওয়া রাব্বি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
“ত্বকী হত্যার আগে-পরে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার কোনোটিরই বিচার হয়নি। এই বিষয়গুলো উন্মোচন করা হবে। সংসদে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা যাবে।”
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে আগামী ২৬ জুন ভোটের দিন রেখেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার শুরু হল মনোনয়নপত্র বিক্রি, ২৯ মে পর্যন্ত তা জমা দেয়া যাবে।