গ্রেপ্তার,হয়রানি ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সমাবেশে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই সংখ্যা জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, “২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপির ২৭২ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ, র্যাব এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।
“এছাড়াও এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিখোঁজ। সব মিলিয়ে ৩১০ জন জন নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করেছে এই সরকার।”
এটি বিএনপির চালানো জরিপের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, সবার নামসহ বিস্তারিত পরিচয় এবং ছবি তাদের কাছে রয়েছে।
ফখরুল বলেন, “এসব গুম-খুন, মামলা-হামলা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এটি একটি রাজনীতির বিরুদ্ধে।
“বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে এসব করা হচ্ছে। কারণ এরা (সরকার)গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, এরা একনায়কতন্ত্র বিশ্বাস করে।”
বিএনপি গুম-হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করা হচ্ছে।
অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নাশকতার বিভিন্ন মামলার আসামিরা গা ঢাকা দিয়ে গুমের অভিযোগ করছে।
হত্যা-গুমকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে বিএনপির মুখপাত্র ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশে এখন পশুত্বের শাসন চলছে।তাই এই পশুদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে দুর্বার আন্দোলন করতে হবে।”
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ।