এরশাদের রাডার মামলার বিচারও শেষ পর্যায়ে

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যামামলা মাথায় নিয়ে থাকা এইচ এম এরশাদকে এবার বিমানের রাডার কেনার দুর্নীতি মামলায় হাজির হয়ে বলতে হবে, তিনি দোষী, না নির্দোষ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2014, 03:26 PM
Updated : 24 April 2014, 03:26 PM

দুই যুগ আগের করা এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের পর ঢাকার বিভাগীয় জজ আব্দুর রশীদ আগামী ১৫ মে আসামির বক্তব্য শোনার দিক ঠিক করেছেন।

সেদিন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে তার বিরুদ্ধে আসা সব সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হবে। ইচ্ছা করলে তিনি নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষী হাজির করতে পারবেন অথবা নিজেই বক্তব্য রাখতে পারবেন।

এই সামরিক শাসক গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১৯৯২ সালের ৪ মে বিমানের রাডার কেনায় দুর্নীতির এই মামলার আসামি হন।

দুর্নীতি দমন ব্যুরো এই মামলাটি দায়েরের দুই বছর পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি থাকাকালে এরশাদসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করে।

এরশাদের সঙ্গে বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও এই মামলার আসামি। অন্য আসামি একেএম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।

১৯৯৫ সালের ১২ অগাস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার সুপ্রিম কোর্টের  আদেশে স্থগিত ছিল।

এরপর সাক্ষ্যগ্রহণে বাধা না থাকলেও মামলা এগোয়নি।মামলার বাদী দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা আলী হায়দারকেও আদালতে হাজির হতে হয়নি। ইতোমধ্যে ব্যুরো বিলুপ্ত হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হয়।

২০১০ সালের ১৯ আগস্ট বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ২০১২ সালের ১ মার্চ তা শেষ হয়।

১১ সাক্ষীর মধ্যে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জুর আহমেদের জবানবন্দি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহীন আহমেদ খান।

এ মামলায় এরশাদ সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার দায় থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে তার আইনজীবীই তার পক্ষে হাজির থাকতেন। বৃহস্পতিবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

এরশাদের বিরুদ্ধে মঞ্জুর হত্যামামলা গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিচারের শেষ পর্যায়ে এসে পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে ফেরত যায়।

ওই শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে গত মঙ্গলবার আদালত এজন্য আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় দেয়।