তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে উত্তরার আমিন কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2014, 03:23 AM
Updated : 22 April 2014, 05:35 AM

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লংমার্চের গাড়িবহর যাত্রা শুরু করে।

যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে, টাঙ্গাইলের বাইপাস মোড়ে, সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়ে, বগুড়ার মাটিঢালী মোড়ে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে পথসভা করবে দলটি।

রংপুরে রাত কাটিয়ে পরদিন ওই নগরীতে সমাবেশের পর নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ  যাত্রা শুরু করবে। ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারেজের কাছে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।

বিমান বন্দর মোড়ে লংমার্চ শুরুর আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এই লংমার্চ সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এটি এদেশের মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা, পরিবেশ-প্রতিবেশ ও কৃষি রক্ষার জন্য কর্মসূচি।

ফাইল ছবি

“ভারত কেবল তিস্তায় পানি প্রবাহ নয়, দেশের ৫৪টি নদীর উজানে বাঁধ ও ব্যারেজ নির্মাণ করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশের মানুষের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আমাদের প্রকৃতি-পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। তিস্তার পানির অভাবে সাড়ে তিন কোটি মানুষের জীবন আজ বিপন্ন প্রায়।”

এ সময় তিনি ভারতের সঙ্গে অতিদ্রুত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার দাবি জানান।

ভারতের প্রতি অনুরোধ রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমরা আশা করব, ভারত আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যার দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসাদুজ্জামান রিপন,খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ লংমার্চে রয়েছেন।

এর আগে গত ৯-১১ এপ্রিল গণতান্ত্রিক বাম মোর্চ এবং ১৭-১৯ এপ্রিল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) তিস্তা অভিমুখে লং মার্চ করে। তারাও তিস্তা নদীর পানি ন্যায্য হিস্যার দাবিতে লংমার্চ করে।