রোববার নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী লং মার্চের এই রুট ঘোষণা করেন। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপি এই কর্মসূচি পালন করছে।
রিজভী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লং মার্চের গাড়িবহর যাত্রা শুরু করবে।
“উত্তরা, জয়দেবপুর, কোনাবাড়ি হয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৌঁছার পর সেখানে প্রথম পথসভা হবে। এরপর টাঙ্গাইলে দ্বিতীয়, সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় তৃতীয় এবং বগুড়ায় চতুর্থ পথসভা শেষ করে সন্ধ্যায় রংপুরে পৌঁছাবে লং মার্চ। রাতে রংপুরে যাত্রা বিরতি করবেন নেতারা।”
পরদিন সকালে রংপুরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে ডালিয়া অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন বিএনপি নেতারা।
রিজভী জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রংপুরে মঙ্গলবার বিকালে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও তা পরদিন সকাল ৯টায় হবে।
ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, “তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় ওই অঞ্চলে মরুকরণ শুরু হয়ে গেছে। এতে ৩ কোটি মানুষকে জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
“অথচ সরকারের প্রেমের কোনো কমতি দেখছি না। সরকারের ভারতের প্রতি প্রেম যেন ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। মেরেছো কলসির কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না- এই বৈষ্ণব প্রেমকে হার মানায়।”
ব্রিফিংয়ে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল করীম শাহিন, মীর শরাফত আলী সপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
লং মার্চ সফল করতে এদিন সকালে রিজভীর নেতৃত্বে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণী বিতান ও পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করেন বিএনপি নেতারা।
দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
লং মার্চ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “আমরা জাতির স্বার্থে মানুষের পক্ষে এই কর্মসূচি করতে যাচ্ছি। এতে বাধা দেয়া হলে জনগণই এর জবাব দেবে।”