রানা প্লাজার মালিক ‘জামাই আদরে’: খালেদা

ভবন ধ্বসে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনার গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে আদর-যত্নে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2014, 12:07 PM
Updated : 19 April 2014, 12:36 PM

তিনি বলেছেন, “রানা প্লাজার মালিক কারাগারে জামাই আদরে আছে। ওই ছোকরা কারাগারে অনেক ভালো আছে। কারণ রানা প্লাজার মালিক আওয়ামী লীগ করে। অথচ আমাদের নেতাদের জেলে কষ্টে থাকতে হয়।”

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কাউন্সিলে একথা বলেন তিনি।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সাভার বাস স্ট্যান্ডের অদূরে নয় তলা ভবন রানা প্লাজা ধ্বসে ১১৩৫ জনের প্রাণহানি হয়, যাদের প্রায় সবাই ওই ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে থাকা তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক। এছাড়াও ধ্বসের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক হাজার শ্রমিক এবং নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।

ঘটনার পর সরকার, পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিদেশি ক্রেতারা হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বলে দাবি করলেও তা অপর্যাপ্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।  

ধ্বসের পর ওই ভবনের মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। রানা সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগের স্থানীয় নেতা ছিলেন।

দুপুরে কাকরাইলের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের দলীয়করণ ও ভ্রান্তনীতির কারণে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ধ্বংস হতে চলেছে।

“রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনসের ঘটনা সবাই জানে। আজো রানা প্লাজার নিহত-আহত পরিবারের সদস্যরা সঠিক ক্ষতিপূরণ পাননি।

ওই দুর্ঘটনার পর সরকার দেশ-বিদেশ থেকে অনেক অনুদান ও চাঁদা তুললেও ক্ষতিগ্রস্তরা সেই অর্থ সঠিকভাবে পায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

“শুধু লোক দেখানোর জন্য ছবি তুলতে কিছু টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হয়েছে।”

বিগত আওয়ামী সরকারের পাঁচ বছরে দেশে নতুন কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি বলে দাবি করেন খালেদা জিয়া।

“বিদেশি ও দেশি- কোনো বিনিয়োগই হয়নি। অনেক পোশাক কারাখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অথবা বিদেশিরা কিনে নিয়েছে। এভাবে বিদেশিরা আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান কিনে নিলে একদিন শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবে।”

মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বন্ধ হওয়ার জন্য সরকারের নীতিকে দায়ী তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের এমন অনেক দেশ আছে তারা আমাদের এখন ট্রানজিট ভিসাও দিতে চায় না। জনশক্তি নেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।

“এই অবৈধ সরকারের ওপর তাদের কোনো আস্থা নেই।”