সিদ্দিক-ইলিয়াসের অপহরণকারীরা একই: বিএনপি

বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এ বি সিদ্দিকের অপহরণকারীরাই দুই বছর ধরে নিখোঁজ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে ধরে নিয়েছিল বলে দাবি করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 12:12 PM
Updated : 18 April 2014, 01:49 PM

শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  বলেন, “বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, যারা ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে তারাই সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীকে অপহরণ করেছিল। দুই অপহরণের ঘটনা একই রকমের। এই দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অভিমুখ শুধু বিরোধী দল নয়, নাগরিক স্বাধীনতার দিকেও।”

বিরোধী দলকে নিবৃত্ত করতে সতর্কতামূলক বার্তা হিসেবে ইলিয়াস আলীকে ‘গুম’ করা হয়েছিল বলে দাবি করেন রিজভী।

“একইভাবে দখলদার সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে পরিবেশ রক্ষা, মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা তথা জনগণের স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের পক্ষে কথা-বির্তক-টকশোতে যারা সোচ্চার তাদের জন্যই মনে হয় সতর্কবার্তা দেয়া হল আবু বকর সিদ্দিককে অপহরণ করে,” বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জে অপহৃত হওয়ার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলাবাগান এলাকায় পাওয়া যায় পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক রিজওয়ানার স্বামী এ বি সিদ্দিকীকে। অপহরণকারীরা তাকে মিরপুরের আনসার ক্যাম্প এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এই গার্মেন্ট কর্মকর্তা।

ফাইল ছবি

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাত থেকে নিখোঁজ। বনানীর একটি সড়কে তার গাড়ি পড়ে থাকলেও তাকে কিংবা তার গাড়িচালককে পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস নিখোঁজের জন্য সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকালে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “পথঘাট, হাইওয়ে এমনকি বাড়িঘর থেকে আটক করে নিয়ে গিয়ে গুপ্তহত্যা, গুম, অপহরণসহ সকল মরণঘাতী ঘটনা কারা ঘটাচ্ছেন তা কি কেউ জানছে না। এসবের সঙ্গে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধায়করা জড়িত সেটি জানতে কি কারও বাকী আছে?”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “দেশে ১৯ শতকের ঠগিদের প্রতাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। চারদিকে তারা অবাধে কর্মকাণ্ড করার ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ওই সময়ে ঠগিরা যেমন পথচারী, ব্যবসায়ীসহ পেশার কাজে ভ্রমণরত নানা স্তরের সাধারণ মানুষকে কৌশলে নিজেদের আওতায় নিয়ে অদৃশ্য করে দিতো বর্তমানেও ঠিক সেই পদ্ধতিতেই মানুষ অপহরণ করা হচ্ছে।”

আগামী ২২-২৩ এপ্রিল তিস্তা ব্যারেজ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “আমাদের এই কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। আন্তর্জাতিক নদীর পানি ভারতের অন্যায় ও একতরফাভাবে প্রত্যাহার বন্ধ করা এবং তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যার দাবিতে এই কর্মসূচি হবে।”

লংমার্চের কর্মসূচিতে বাঁধা দিলে জনগণই তার জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিরিন সুলতানা, আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করীম শাহিন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।