বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক দলীয় অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়া দেখে আইএসআইয়ের মাথায় রক্ত উঠে যায়। পরে তারা এদেশে তাদের এজেন্টদের খোঁজা শুরু করে।
“তাদের একজন এজেন্ট ফেরারি আসামি হয়ে লন্ডনে পালিয়ে আছে। তার মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করতে চাচ্ছে।”
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘তথ্য সন্ত্রাস ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভায় কথা বলে মতিয়া চৌধুরী।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রামের পুরনো সার্কিট হাউসে বেগম জিয়া একদিন উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পুত্র তারেক জিয়া একদিনও যায়নি।
“জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় তার পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করেন নাই। পুত্র তারেক রহমানও কোনো দিন তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন নাই। কেসটা কি?”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে মতিয়া বলেন, “আপনি ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এরশাদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী। এরপর ৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতার যাবার পরে আমি তখন সেই সংসদের সংসদ সদস্য ছিলাম। তখন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেছিলাম, আপনি এরশাদের বিরুদ্ধে আলতু-ফালতু মামলা না দিয়ে খুনের মামলা দেন।
“তখন তিনি (খালেদা) বললেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলে আপনি মামলা করুন। আমি তখন বলেছিলাম, সোয়ামী (স্বামী) মরছে আপনার আর মামলা করবো আমি?”
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।