আজ কারোরই নিরাপত্তা নেই: ফখরুল

রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পর এখন সাধারণ মানুষও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে এজন্য রাষ্ট্রকে দলীয় উদ্দেশ্যে ব্যবহারকে দায়ী করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 03:12 PM
Updated : 17 April 2014, 04:26 PM

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার দিন বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় বক্তব্যে একদিন আগে পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীর অপহরণের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি একথা বলেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল রাত থেকে নিখোঁজ। বনানীর একটি সড়কে তার গাড়ি পড়ে থাকলেও তাকে কিংবা তার গাড়িচালককে পাওয়া যায়নি। ইলিয়াস নিখোঁজের জন্য সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।

ফখরুল বলেন, “দুই বছর হয়ে গেছে, সরকার ইলিয়াস আলীর কোনো হদিস দিতে পারেনি। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীকে গতকাল অপহরণ করা হয়েছে।

“গত তিন মাসে কেবল ঢাকা মহানগরীতে ২২ জন নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে। সাদা পোশাকে সুঠামদেহী একদল মানুষ অস্ত্র হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে যে কাউকে তুলে নিয়ে গুম করে দিচ্ছে।”

পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক রিজওয়ানার স্বামী নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিককে বুধবার ঢাকায় ফেরার পথে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। ২৪ ঘণ্টায়ও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ফখরুল বলেন, “যে পুলিশ বাহিনী অপরাধ দমনে নিয়োজিত থাকার কথা। তাদের বিরোধী দলকে ঠেকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে চলে গেছে।”

ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির এই আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, “কোনো মানুষের আজ নিরাপত্তা নেই। গোটা দেশটাকে হত্যাযজ্ঞের রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।”

‘অবৈধ’ সরকার গুম-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে দাবি করে তিনি বলেন,এভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।

আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন,“ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার প্রতিশোধ নিতে হলে ১৬ কোটি মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। একজোট হয়ে আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে।”

ফখরুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাদেক হোসেন খোকা, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের  সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করীম চৌধুরী আবেদও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।