ইলিয়াসের পরিবারের প্রতি খালেদার সহমর্মিতা

দু’বছর ধরে নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2014, 12:52 PM
Updated : 17 April 2014, 01:24 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইলিয়াসের বনানীর বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী তাহমিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে দেখা করে দলীয় প্রধানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছান।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে নিজের গাড়িতে করে চালক আনছার আলীকে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। পরদিন রাতে সাবেক এই সাংসদের ব্যবহৃত গাড়িটি মহাখালীর আমতলী ক্রসিং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ইলিয়াস ও তার গাড়ি চালকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গুম করেছে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির এ অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাসহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ তাদের বনানীর বাসায় যান।

এসময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, শ্যামা ওবায়েদ, শায়রুল কবির খান, বজলুল করীম চৌধুরী আবেদ, ওবায়দুল হক নাসির, সিলেটের নেতা কাইয়ুম চৌধুরী ও কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

‘সিলেট হাউজের’ চতুর্থ তলায় ড্রইং রুমে তাহসিনা রুশদীর লুনার সঙ্গে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি ইলিয়াস আলীর সন্তানদের খোঁজ-খবর নেন। এসময় তার বড় ছেলে আবরার ইলিয়াস ও লুনার ছোট বোন দিলারা শারমীনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ছোট মেয়ে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্রী সাইয়ারা নাউয়াল অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তার বিছানার পাশে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

অশ্রæসজল কণ্ঠে লুনা জানান, দু’বছর পার হলেও নিখোঁজ স্বামীর বিষয়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের অগ্রগতি তাকে জানানো হয়নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমার স্বামীকে রাজনৈতিক কারণে গুম করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও এখনো আমার স্বামীর সন্ধান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিতে পারেনি। গত দেড় বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কেউ আমার সঙ্গে দেখা করেনি।

“আমি আশাবাদী, আমার স্বামী আমার কাছে আবার ফিরে আসবে। এজন্য আমি এখন আল্লাহ ওপর ভরসা করে আছি।”