তিনি মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ‘ইতিহাসের সত্য’ বলায় তারেকের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে সরকারি দলে নেতারা।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক গত ৮ এপ্রিল লন্ডনে এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ‘প্রথম অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলেন।
তার দুই সপ্তাহ আগে আরেক সভায় নিজের বাবা জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করেন তিনি।
ওই বক্তব্যের পর খালেদা জিয়ার ছেলেকে ‘আহাম্মক’ বলার পাশাপাশি তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দাবি তুলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘কটূক্তির’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছাত্রদলের সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল।
তিনি বলেন, “যদি তার (তারেক রহমান) বক্তব্যে কিংবা তথ্যে ভুল থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগ যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে পারত। কিন্তু তা না করে তাদের মন্ত্রী-নেতারা যে ভাষায় আবোল-তাবোল কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগের আতে ঘাঁ লেগেছে।”
তোফায়েল আহমেদের প্রতি ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, “তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট কোথায় ছিলেন? রক্ষীবাহিনীর দায়িত্ব তার হাতে ছিল। আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা আজ মুখে বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ছাড়া তাদের কাউকেই প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।”
“একাত্তর সালে সবাই জানে কে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন, কারা ওই সময়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কলকাতায় বিলাসী অবস্থায় ছিলেন,” বলেন তিনি।
এই সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, শফিউল বারী বাবু, আমিরুল ইসলাম আলিম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ছাত্রদলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির প্রমুখ।