তোফায়েল ‘তোষামোদকারীর’ ভূমিকায়: খোকা

তারেক রহমানকে সমালোচনার মধ্য দিয়ে তোফায়েল আহমেদ নিজের দলের সভানেত্রীকে ‘তোষামোদ’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন সাদেক হোসেন খোকা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2014, 11:57 AM
Updated : 12 April 2014, 11:57 AM

আওয়ামী লীগের এই নেতার ১৯৭৫ এবং ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ভূমিকা তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেছেন, “শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে তোষামোদীর জন্য যা বলবেন, তা মেনে নেয়া হবে না।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলায় বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমানকে ‘আহাম্মক’ বলেছিলেন।

ওই বক্তব্য ধরে শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের কাউন্সিলে বক্তব্যে তোফায়েলকে আক্রমণ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খোকা।

তিনি বলেন,“তোফায়েল সাহেব মন্ত্রী হওয়ার পর বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু বলতে তিন লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে যান। তোফায়েল সাহেব বলেছেন,উপ সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমান না কি তাকে ‘স্যার বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেন’। এতই ক্ষমতাধর ছিলেন তিনি!”

“তাহলে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের সময় ক্ষমতাধর এই ব্যক্তি কোথায় ছিলেন? ওই সময়ে রক্ষীবাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। দুষ্ট লোকেরা বলে, সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তোফায়েল আহমেদ সম্পৃক্ত ছিল।”

ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত তোফায়েলের শেখ হাসিনার ২০০৯ সালের সরকারে ডাক না না পাওয়ার কথাও তুলে ধরেন খোকা।

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কামাল হোসেনের গণফোরাম গঠনের সময়ও তোফায়েলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন বিএনপি নেতা।

“ওই সময়ে তোফায়েল সাহেবের জন্য সেক্রেটারি পদ খালি রাখা হয়েছিলো। গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু আমাকে এটা বলেছিলেন।”

“শেখ হাসিনা তাকে (তোফায়েল) বিশ্বাস করেন না। এজন্য তিনি এখন যা ইচ্ছা তা-ই বলে ভালো হতে চান,” বলেন খোকা।

তিনি বলেন, “তোফায়েলও নাসিম সাহেবরা ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর মন্ত্রী হয়েছেন। খালেদা জিয়ার আন্দোলনের কারণেই তারা মন্ত্রী হতে পেরেছেন। এজন্য তাদের বলব, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে পায়ে ধরে সালাম করুন।”

জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করলে তার জবাব দেয়া হবে বলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের হুঁশিয়ার করেন খোকা।

সম্মেলনে বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানও আওয়ামী লীগ নেতাদের সতর্ক করেন।

“তারেক রহমানের বক্তব্যে তোফায়েল সাহেবদের আঁতে ঘা লেগেছে। তারেকের বক্তব্য এক্ষেত্রে একটি এন্টিবায়োটিক। গালিগালাজ করে কোনো লাভ হবে না।”