তাছাড়া দশম সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রীর ভূমিকায় থাকা স্ত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে বলে সাধারণ মানুষ ও দলের অনেক নেতাকর্মীর যে ধারণা রয়েছে তা দূর করতেও মহাসচিব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কাজে লাগবে বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার বারিধারায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পাওয়া সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।
অনেকটা আকস্মিকভাবেই বৃহস্পতিবার এরশাদ জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন।
দলের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে হঠাৎ পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হাওলাদর ১৪ বছর দলের মহাসচিব ছিলেন। ওনার অনেক অবদান রয়েছে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে এ পদে পরিবর্তন দরকার। “দলকে সংগঠিত করার জন্য নতুন মুখ দরকার। তাই নতুন মহাসচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে।”
এরশাদ বলেন, “আমার ও রওশনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে এমনটা জনগণ ও দলের অনেক নেতাকর্মীরা মনে করেন। নতুন মহাসচিব নিয়োগের ফলে এ ধারণা দূর হবে। এখন সবাই মনে করবে আমরা এক।”
সম্প্রতি রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
মহাসচিব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও বিবেচনায় ছিল জানিয়ে এরশাদ বলেন, “দুদক অনুসন্ধান করবে, এ কারণে বিতর্কিত হওয়ার আগেই তাকে সরানো হয়েছে।”
বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির ভোটের আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের নানামুখী অবস্থানের মধ্যেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট ধরে রাখতে তৎপর দেখা যায় জিয়াউদ্দিন বাবলুকে।
সে সময় বাবলু ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নু দলীয় চেয়ারম্যানের স্ত্রী রওশনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান জানান।
এ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, “আমার মতের বিরুদ্ধে সবাই নির্বাচন করেছে। আমি সেটা ভুলে গেছি। আমি একাই পার্টি চালাই। যাকে পাশে পাব তাকে নিয়েই কাজ করব।”