দশম সংসদ নির্বাচনের পরদিন সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী একথা বলেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের বর্জনের মধ্যে রোববার দশম সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সিপিবি, বাসদসহ বামপন্থী কয়েকটি দলও এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন,“যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। যারা তা করে না, তারা নির্বাচন বর্জন করেছে।”
সেক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ভূমিকা রাখা সিপিবিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষ শক্তি কিনা- এই প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “কমিউনিস্টপার্টিতে যে যেগুলো ছিল পাকা পাকা, খুব ভালো; সেগুলো তো আমি নিয়ে নিয়েছি। পচাগুলো চলে গেছে।
“এখন যারা আছে, তারা তো পুঙ্খনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করতে করতে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছে।”
শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় সিপিবির এক সময়ের নেতাদের মধ্যে মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ স্থান পান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছেন সাবেক সিপিবি নেতা নূহ-উল আলম লেনিন।
এই নির্বাচনে সিপিবিকে না পেয়ে ভোটের আগে গত ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনেও দলটির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে বসা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেনিনের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “সিপিবির মুখ্য নেতারা আমাদের আশেপাশেই আছেন।”
এরশাদের সামরিক শাসনামলে ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আট দলের হয়ে অংশ নিয়েছিল সিপিবি। ওই সংসদ মেয়াদ পূর্তির তিন বছর আগেই ভেঙে যায়।
এবারের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ক্ষেত্রে সিপিবির যুক্তি, বিএনপিসহ সব দলের (জামায়াতে ইসলামী ছাড়া) অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে তা গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
সমঝোতার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেছিল সিপিবি। হাসিনার প্রতি তাদের পরামর্শ ছিল, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আর জামায়াতে ইসলামীকে জোট থেকে বাদ দিতে খালেদাকে পরামর্শ দিয়েছিল তারা।