শুক্রবার দুপুরে গুলশানে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাপা চেয়ারম্যান ও তার দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এরশাদ। এরপর গত দুই দিনে বিভিন্ন আসনে জাপা প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে এরশাদকে তার বারিধারার বাসা থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অসুস্থতার কারণেই তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সিএমএইচে এরশাদের সাথে কথা হয়েছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, “এরশাদ সুস্থ আছেন। তিনি বলেছেন আসন্ন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে এখনো তিনি অনড় আছেন। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে তার নির্দেশও বহাল আছে।”
“সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাকে আরও দু-এক দিন রাখা হবে। উনি যখন চাইবেন তখনই বাসায় ফিরতে পারবেন বলেও তারা আশ্বস্ত করেছে”, বলেন এরশাদের ভাই।
কাদের বলেন, দলের সব প্রার্থী নির্দেশনা অনুসারে শুক্রবার মধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে চেয়ারম্যান আশা করছেন।
কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে নির্বাচনকালীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী কাদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ নির্বাচনে যাচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, “এটি রওশন এরশাদই পরিষ্কার করবেন।”
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর আহমেদ সম্প্রতি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে’ তিনি খবর পেয়েছেন যে এরশাদ এখন অবসর নেবেন এবং রওশন এরশাদ দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেবেন।
এরশাদ হাসপাতালে থাকায় তার স্ত্রী রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে জিএম কাদের তা অস্বীকার করেন।
দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও প্রেসিডিয়ামের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদও এসময় উপস্থিত ছিলেন।