৬০ ঘণ্টার সংঘাতময় হরতালের পর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইতোমধ্যে মঙ্গলবার রাতে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন এবং সেই সঙ্গে সংলাপের আবহের মধ্যে বিরোধী দলের ডাকে তিন দিনের হরতালে সাধারণ মানুষসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হন। বোমাহামলা হয় মন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়ির সামনে।
রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কায় মানুষের উৎকণ্ঠার মধ্যে হরতাল শেষে বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮ দলের সংবাদ সম্মেলনে এসে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন ফখরুল।
বৃহস্পতিবার সব মহানগর, জেলা, উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা হবে শুক্রবার জুমার নামাজের পর।
নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান ফখরুল। ঢাকায় গায়েবানা জানাজা হবে নয়া পল্টনে বিকালে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ফখরুল বলেন, “তিন দিনের হরতালে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ও হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হল।”
ফখরুল দাবি করেন, ৬০ ঘণ্টার হরতালে পুলিশসহ আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় বিরোধী দলের ১৮ জন নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২ জন।
এছাড়া ২৬শ’ ৩০ জন গ্রেপ্তার এবং ৮২ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সোমবার রাতে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে গুলিবর্ষণ হয়েছে দাবি করে তার নিন্দাও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।