১৪ দলের বৈঠকে সুরঞ্জিতের সমালোচনা

প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করবেন- একথা বলে ১৪ দলের নেতাদের সমালোচনায় পড়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2013, 08:33 AM
Updated : 26 Oct 2013, 08:42 AM

শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যের এই বক্তব্যের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ১৪ দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হয়।

বৈঠকে অংশ নেয়া এক নেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “সবাই সুরঞ্জিত বাবুর সমালোচনা করেছেন। সবাই বলেছেন, এভাবে কথা বললে সমন্বয়হীনতার প্রকাশ ঘটবে।”

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে আলোচনার জন্য শনিবার সন্ধ্যার পরই খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করবেন বলে জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত।

তিনি এক আলোচনা সভায় বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সভা রয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে চাই, ওই সভা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আপনাকে [বিরোধীদলীয় নেতা] ফোন দেবেন।”

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (ফাইল ছবি)

১৪ দলের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ওটা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ‘ব্যক্তিগত’ বক্তব্য।

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “টেলিফোন করা উনার (শেখ হাসিনা) ইচ্ছা। তিনি কখন টেলিফোন করবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন।”

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার জনসভায় বক্তব্যে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। তা না হলে রোববার থেকে তিন দিন হরতালের ঘোষণাও দেন তিনি।

বিরোধী দলের জনসভার আগেই তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছিলেন, আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়ে তাতে অংশ নিতে গত ১৮ অক্টোবর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

এর পর খালেদা জিয়া পাল্টা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দিয়ে তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেন বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপর আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে টেলিফোন করলে সংলাপের একটি আবহ তৈরি হয়।

এর মধ্যেই দশম সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনার প্রথম দিন শুক্রবার জনসভায় এসে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারকে শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন খালেদা জিয়া।