অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় আয়োজকদের সমালোচনায় লতিফ সিদ্দিকী

শেখ হাসিনার জন্মদিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজকদের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2013, 09:05 AM
Updated : 28 Sept 2013, 12:56 PM

অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ছোট ভাই আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর আচরণে অসন্তোষও প্রকাশ করেন প্রায়ই স্পষ্টভাষায় কথা বলে আসা এই রাজনীতিক।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জন্মদিনে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সড়ক দ্বীপে আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, “অনুষ্ঠানের সামনের লোকজন দেখে মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে নয়, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে থেকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকতে পারে।

“প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এত নিচে নামেনি যে এই রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।”

এই ধরনের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে বিরত থাকতে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনটির নেতাদের পরামর্শ দেন লতিফ সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কবি মোশাররফ হোসেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

সংগঠনটি শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনার পাশাপাশি কেককাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ায় এবার জন্মদিন নিউ ইয়র্কে করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। 

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (ফাইল ছবি)

লতিফ সিদ্দিকী গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে নিজের ভাই কাদের সিদ্দিকীর আচরণের অসন্তোষের কথাও জানান ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।

কাদের সিদ্দিকীর নাম উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, “কোনো কোনো ‘বীর উত্তম’ এই সময়ে এসে কেন রাজাকার হতে চায়, তার উদ্দেশ্যই বা কি, তা আমি জানি না।”

মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে অখণ্ডিত রাখতে ও এদেশের মানুষের ধনসম্পত্তি লুটপাট করতে কেউ কেউ রাজাকার হয়েছিলেন।

একাত্তরে বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এখন কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি।

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কাদের সিদ্দিকীর অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক চিহ্নিত দিগন্ত টেলিভিশনে তার অনুষ্ঠান করা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।