রোববার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বিরোধী দলীয় নেতাকে উত্তরবঙ্গে না ঘুরে সংসদে আসার আহ্বান জানান।
সুরঞ্জিত বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যত বক্তব্য আছে সংসদে এসে বলুন। এটাই শেষ অধিবেশন, এটাই শেষ সুযোগ। এরপর আলোচনার আর সুযোগ থাকবে না।”
গণতান্ত্রিক চর্চা করে দেশকে এগোতে হবে জানিয়ে ‘এর কোনো বিকল্প নেই’ বলে উল্লেখ করেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘নির্দলীয় সরকারের’ অধীনে করার দাবি জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।
নির্বাচন কালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবেন না বলেও রোববার ঘোষণা দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
স্পিকার ঘোষিত ২৫ অক্টোবর-২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সময়সীমার বিষয়টি তুলে ধরে সুরঞ্জিত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তারিখ দেবেন না। নির্বাচন কমিশনই তারিখ ঘোষণা করবেন।”
তিনি জানান, সংবিধানের ১২৩ এ নির্বাচনের সময়ের কথা বলা হয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতার উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, “‘ক’ এর দিকে না গেলে ‘খ’ এর দিকে যান। সংবিধানের কাঠামোর মধ্যে থাকতে হবে। এ নিয়ে প্রস্তাব তুলেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। একটা বিশেষ কমিটি করেও আলোচনা করা যায়-কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়।”