রাজনৈতিক মতপার্থক্যের সুযোগে অসাংবিধানিক কারো ক্ষমতা দখলের বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন একথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কেন অগণতান্ত্রিক শক্তির কথা বলছেন, তা আমরা জানি না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, দেশে কোনো অসাংবিধানিক সরকার এলে কিংবা অসাংবিধানিক ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।”
সোমবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র এম এ মান্নানকে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
রোববার এম এ মান্নানকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়িয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রে দল ও মতের ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এর সুযোগ নিয়ে জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে।”
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মতপার্থক্য রয়েছে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা আওয়ামী লীগ বলে এলেও বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে।
ফখরুল বলেন, “নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ক্ষমতায় এসেছেন। এর আগে আরো তিনটি নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। এখন তারা জনগণের দাবিতে কর্ণপাত করছে না।”
বর্তমান সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থ এখন নেই দাবি করে ফখরুল বলেন, “সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও নির্দলীয় সরকারের প্রতি জনগণ ম্যান্ডেট দিয়েছে। আমরা এখনো আশা করব, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।”
“তা না হলে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।’’
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে রিমান্ডে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “একজন মানবাধিকার কর্মীকে পুলিশ রিমান্ডে নেয়া সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।”
শেরে বাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দেয়ার সময় মান্নানের সঙ্গে ছিলেন গাজীপুর বিএনপির নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারসহ কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলও সেখানে ছিলেন।