শুক্রবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কোনো সরকারই নির্বাচিত থাকে না। তখন যে সরকারই থাকবে, তারা অনির্বাচিত। আমরা স্পষ্টভাষায় সরকারকে বলতে চাই, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে হবে।”
“নির্দলীয় ছাড়া অন্য কোনো সরকারের অধীনে এই সরকার নির্বাচন করতে চাইলে তা হতে দেয়া হবে না।”
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপি। এই মাসের শুরুতে খালেদা জিয়াকে সংলাপের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারেও আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই বলে জানান তিনি।
‘আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির’ উদ্যোগে ঐতিহাসিক ফারাক্কার লংমার্চ দিবস উপলক্ষে ওই আলোচনা সভা হয়।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, “পৃথিবীর সব দেশের সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন হয়। সংসদ শেষ হলে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকে, তারা নির্বাচিত থাকেন না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে বিধান সংযোজন করেছে, তা বিশ্বের কোনো দেশেই নেই।”
সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংকট নিরসনে সংলাপের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। আমরা তো দেইনি। এখন তিনি বলছেন, অনির্বাচিত সরকার নিয়ে সংলাপ হবে না। আমরা সরকারকে বলবো, সংলাপের কথা বলে ধানাই-পানাই করে লাভ হবে না।”
সরকার দেশের স্বার্থ প্রতিবেশী দেশের কাছে বিকিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম মিয়া।