তারা সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
এছাড়া দুপুরে বিভিন্ন এতিমখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্ত্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হবে আলোচনা সভা ও মিলাদ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, সে সময় স্বামীর সঙ্গে দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন।
১৫ অগাস্ট পরবর্তী সরকারের অনুমতি না থাকায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সে সময় দেশে ফিরতে পারেননি। পাঁচ বছর নয় মাস পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
এর মধ্যে ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
৩২ বছর আগে লাখ লাখ জনতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা যখন ঢাকায় পৌছান, তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। তারপরও তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত রাস্তায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে লাখো জনতার সংবর্ধনার পর শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী এবং সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।