মঙ্গলবার সংগঠনটির এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়, ‘ওরা হেফাজতে ইসলাম নয়, হেফাজতে জামাত’।
এই লংমার্চ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে আল বাইয়্যিনাত বলেছে, “সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম নামধারীদের তথাকথিত লংমার্চ কর্মসূচি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আমরা স্পষ্ট ও বলিষ্ঠভাবে বলতে চাই, ইসলাম হেফাজতের মালিক কোনো মানুষ নয় বরং স্বয়ং মহান আল্লাহপাক।”
সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আল্লামা মুহম্মদ মাহাবুব আলম স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “নাস্তিক ব্লগারদের নামে প্রকৃতপক্ষে জামাতে মওদুদীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের বিচার বানচালে তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের আহ্বান মূলত ‘হেফাজতে জামাত’ তথা ‘হেফাজতে মাওসেতুং’ এ পরিণত হয়েছে।
“নতুবা মুষ্টিমেয় নাস্তিক ব্লগারদের বিরোধিতা ছাড়া দেশে সুদ-ঘুষ, অশ্লীলতাসহ যাবতীয় অনৈসলামী কাজের বিরুদ্ধে তথাকথিত হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি নেই কেন?”
এদিকে এই লংমার্চ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ‘সচেতন হাক্কানী আলেম সমাজ’ ব্যানারে বিবৃতি দিয়েছে ১০০ জন আলেম।
তারা বলেছেন, এতে জামায়াত-শিবির ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ করবে।
সচেতন হক্কানী আলেম সমাজ এর আহ্বায়ক মাওলানা জহিরুল ইসলাম মিঞা স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “একদল স্বার্থান্বেষী লোক ইসলামের নাম ভাঙিয়ে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।
“এসব ষড়যন্ত্রকারী চক্রান্তের যাঁতাকলে দেশ, জাতি ও জনগণ নিষ্পেষিত। বিরোধী দলের কাঁধে ভর করে চিহ্নিত অপশক্তি দেশবিরোধী চক্র গণতান্ত্রিক কর্মসূচির নামে তাদের আসল চেহারা তুলে ধরেছে।”
“ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের ভেতর জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।”
বিবৃতিতে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী নাস্তিকদেরকে’ বিচারের সম্মুখীন করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হক্কানী আলেমরা।