শনিবার ভোরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর বেলা পৌনে ১২টায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়ার কবরে ফুল দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
পরে কবর প্রাঙ্গণে মিলাদ মাহফিলে অংশ নিয়ে স্বামীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আ স ম হান্নান শাহ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, শাহজাহান ওমর, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর মোহাম্মদ নাসির, এম এ মান্নান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম সেথানে ছিলেন।
বিএনপির পাশাপাশি যুবদল, কৃষক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, ড্যাব, এ্যাব, জাসাস, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল ও শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনও প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
শেরে বাংলা নগরে কবর প্রাঙ্গণে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিও উদ্বোধন করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগেও আলাদা রক্তদান কর্মসূচি হয়। দলীয় কর্মীরা এতে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে দুই দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার থেকে। রোববার বিকাল ৩টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আলোচনা সভা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন খালেদা জিয়া।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জিয়াউর রহমানের জন্ম। শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করে জাতীয় পরিচিতি পান জিয়া।
মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ‘জেড’ ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরউত্তম খেতাব পান তিনি।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক পর্যায়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন জিয়া।
সামরিক শাসক হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠান নিয়ে পরে রাষ্ট্রপতি হন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালে ১ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
১৯৮১ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন জিয়া। এরপর বিএনপির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া।