বিশ্বজিত হত্যা: ‘হত্যাকারীদের বাঁচাতে দুর্বল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন’

খুনিদের বাঁচাতে পুরান ঢাকায় অবরোধের মধ্যে নিহত বিশ্বজিত দাসের লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দুর্বল করে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2013, 03:24 AM
Updated : 4 Jan 2013, 03:24 AM

খুনিদের বাঁচাতে পুরান ঢাকায় অবরোধের মধ্যে নিহত বিশ্বজিত দাসের লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দুর্বল করে তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা।

হত্যাকারীদের সাজা কমাতেই চিকিৎসককে দিয়ে এভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনন্ত চন্দ্র দাস।

শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “বিশ্বজিতের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাত ও কোপের দাগ ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে একটি কোপের চিহ্ন পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বলে শুনেছি।”

তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত দুর্বল হলে খুনি সাজা কম পাবে। এ কারণেই এমন করা হয়েছে।

খুনিদের শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, “প্রকৃত খুনির শাস্তি হোক। তবে নিদোর্ষ কেউ যেন শাস্তি না পায়।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বজিতের মা কল্পনা রাণী দাস বলেন, “আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।”

বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে নতুন করে প্রতিবেদন দেয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক এতে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেয়া চিকিসক ও সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সূত্রাপুর থানার এসআইয়ের গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি। এছাড়া বিশ্বজিতের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন সরকারের কাছে।

গোবিন্দ বলেন, “তার (বিশ্বজিত) শরীরে পঁচিশটি কোপের দাগ রয়েছে। আমরা পত্রিকার মাধ্যমে তা জানতে পেরেছি।”
তবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিশ্বজিতের পিঠে, ডান হাতের নিচে ও বাম পায়ে তিনটি কোপের দাগ ছিল।

ডান হাতের নিচের কোপটি গভীর ছিল বলে মাকসুদ জানান।

গত ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় দর্জির দোকানি বিশ্বজিতকে। ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।