খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার সকালে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা আজকে ঐক্যবদ্ধ হই দলমত নির্বিশেষে, সকল দল মিলে আমাদের স্বার্থরক্ষার জন্য, আমাদের অধিকার ফিরে পাবার জন্য আমরা আজকে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।
“স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আজকে ঐক্যবদ্ধ হই। সামনের দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন তৈরি করে এই দানব সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।”
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, আর্থারাইটিস বেড়ে গেছে, ঘাড়ের ব্যথা বেড়ে গেছে। তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না, চলতে পারেন না। হুইল চেয়ার চলতে হচ্ছে তাকে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এসময় বিএনপি মহাসচিব নিজেই স্লোগান ধরেন- ‘জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে কয়েকবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানবন্ধন করেছে বিএনপি। সর্বশেষটি হয়েছিলে গত ৬ মার্চ।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হচ্ছে না বলে দাবি করেন ফখরুল।
“আজকে তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নাই, সেই সাহস নাই। তাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছেনা। দুই বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তারা ফেরত পাঠাতে পারে নাই।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ নেতা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু বক্তব্য রাখেন।