বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি নামে নতুন দল

বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2017, 09:27 AM
Updated : 22 Sept 2017, 10:08 AM

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।

দলটির সভাপতি হয়েছেন শ্যামল কুমার রায় এবং সুকৃতি কুমার সাধারণ সম্পাদক।

বিএমজেপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের উল্টোপিঠ। ছবি: পার্টির ফেইসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত

‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বাঁচাও’স্লোগানকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান দলটির সভাপতি শ্যামল কুমার রায়।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত সকল নাগরিকের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুসংহত করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির সেবায় আত্মনিয়োগএবং সমাজ-সচেতনতামূলক কার্য্ক্রমের মাধ্যমে বিএমজেপি তার সকল কাজ পরিচালনা করবে।”

দলটির সাধারণ সম্পাদক সুকৃতি কুমার ধর্মীয়, জাতিগত ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীভুক্ত সংখ্যালঘুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে ‘সংখ্যালঘু বিষয়ক’ মন্ত্রণালয় গঠনসহ সাত দফা দাবি জানান।

অন্যান্য দাবির মধ্যে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার সুরক্ষায় আলাদা জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংসদে ধর্মীয়-জাতিগত ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যথাযথ অংশীদারিত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় একটি করে ৬৪টি সংসদীয় আসন সংরক্ষণ, মন্ত্রিপরিষদসহ সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সর্বস্তরে সংখ্যালঘুদের জন্য ন্যূনতম ২০ শতাংশ পদায়ন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ণ রয়েছে।

সুকৃতি কুমার বলেন, “আমরা আমাদের সংগঠনকে সারাদেশে বিস্তৃত করে এই দাবি নিয়ে এগিয়ে যাব। নির্বাচন কমিশনে বিধি-বিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত হয়ে আগামী নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে ধীরেন্দ্র নাথ অধিকারী বিএমজেপির ১০১ সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে সহসভাপতি অমল কুমার রায়, আবদুল হাইসহ নতুন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।