তিন বছর আগে দায়ের করা এ মামলায় চলতি বছর বিচার কাজ শুরু হলেও আসামিপক্ষের আবেদনে গত ২৩ অগাস্ট রুলসহ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ।
এ আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের করা ‘লিভ টু আপিলের’ শুনানি নিয়ে তাতে বৃহস্পতিবার ‘নো অর্ডার’ দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায়চৌধুরী ও সগীর হোসেন লিয়ন। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
পরে সগীর হোসেন লিয়ন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের ওপর বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
তিনি বলেন, “এ আদেশের ফলে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির কার্যক্রম আপাতত সচল হচ্ছে না, স্থগিতই রয়ে গেল।”
তবে চেম্বার আদালত থেকে ‘নো অর্ডার’ এলেও আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ফের ‘লিভ টু আপিল’ করা যাবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
২০১৪ সালের ২৪ অগাস্ট মির্জা ফখরুল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘খুনি’ ও তার দল আওয়ামী লীগকে ‘খুনির দল’ আখ্যায়িত করেন বলে এ মামলার অভিযোগ।
আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মানহানির মামলা করে বলেন, ফখরুলের ওই বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে তারও মানহানি হয়েছে।
পুলিশের তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ মেলায় অভিযোগটি বিচারের জন্য মামলা হিসাবে গ্রহণ করেন মহানগর হাকিম অমিত কুমার দে। পরে ফখরুল এ মামলায় জামিন পান।
চলতি বছরের ৯ জুলাই এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে আদালত। এরপর মামলা বাতিলে হাই কোর্টে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল।