নতুন রাজনৈতিক জোট ‘বিজেপি’

চার বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টি’র নেতৃত্বে এবার কয়েকটি সংগঠন নিয়ে ‘বাংলাদেশ জনতা পার্টি-বিজেপি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক জোটের সূচনা হয়েছে।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির প্রেসিডেন্ট মিঠুন চৌধুরী নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, “অর্ধশতাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত জোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে।”

একই সাথে নতুন জোট থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ সংখ্যালঘুদের স্বার্থে রাজনৈতিক দল হিসেবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির আত্মপ্রকাশ হয় জানিয়ে মিঠুন চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘ চার বছর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি।

“অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদের খোঁজে বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট, গণতন্ত্র, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণ, শোষণমুক্ত সমাজ, নির্যাতন ও নিষ্পেষিত গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্ধশতাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে এই জোট গঠন করা হয়েছে।”

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আদিবাসী পার্টির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।

নিজেকে নতুন জোটের আহ্বায়ক হিসেবে উল্লেখ করে মিঠুন চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জোটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাটের শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ, অধ্যাপক অম্বরিশ রায়, খুলনার মুক্তির আহ্বান নামের সংগঠনের অচিন্ত কুমার দাস, নড়াইলের সনাতন শিক্ষা ও সংস্কারের প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সেন উপস্থিত ছিলেন।