প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনের পক্ষে গণফ্রণ্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরাকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে গণফ্রন্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2017, 09:52 AM
Updated : 20 Sept 2017, 09:52 AM

এর সঙ্গে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম চালু, ধর্মবিরোধী দলের নিবন্ধন বাতিল, সংসদীয় আসন বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয় দলটির পক্ষ থেকে।

নির্বাচন ভবনে চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গণফ্রন্টের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সংলাপে সভাপতিত্ব করেন।

দুই ঘণ্টার মতবিনিময় শেষে গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান জানান, তার দলের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ সুপারিশ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে- বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও (তত্ত্বাবধায়ক নয়, অরাজনৈতিক সরকার নয়) একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার পরে যেসকল নিবন্ধিত দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল তাদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা যেতে পারে।

“প্রয়োজনে সমঝোতার মাধ্যমে সে সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না,” বলেন জাকির হোসেন।

দলটির অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন করা; নাম ও প্যাড সর্বস্ব, অফিসবিহীন রাতারাতি গড়ে উঠা অনিবন্ধিত দলগুলো যাতে নিবন্ধিত দলের সাথে জোট করতে না পারে সেজন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন; নির্বাচনের অন্তত ছয়মাস আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া; সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনি কাঠামো সংস্কার করা, পাশাপাশি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নূন্যতম সংখ্যা ৩৫০/৪৫০টি করা; প্রবাসীদের ভোটার করা; নারী আসনবৃদ্ধি, প্রতি জেলায় একজন নারী সংরক্ষিত আসনে নিয়োগ; ধর্মবিরোধী দলের নিবন্ধন বাতিল ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে ইসি। গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে; এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসেছে কমিশন।