এছাড়া দলটি ভোটের তিন মাস আগে থেকে নির্বাচনী এলাকায় সেনা মোতায়েনসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে।
রোববার বিকালে এই সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএ মুকিনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
দলটির প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য সরকার গঠন; একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের আগে ১০ম জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া; নির্বাচনের তিন মাস পূর্ব থেকে নির্বাচনের পরবর্তী কমপক্ষে একমাস পর্যন্ত মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করা; এক বিভাগে একদিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন; প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা; প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করে বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস ও কন্সুলেটগুলোতে তাদের ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা; ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা ইত্যাদি।
এ নিয়ে ১২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বিকাল ৩টায় প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) সঙ্গে সংলাপ রয়েছে।
এরপর২০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় গণফ্রন্ট, বিকালল ৩টায় গণফোরাম এবং ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকাল ৩টায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি)সঙ্গে সংলাপের সূচি রয়েছে।
আরও ৮টি দলের সংলাপসূচি চূড়ান্ত
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, রোববার আরও ৮টি দলের সংলাপের সূচি অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
২ অক্টোবর: সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ; বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
৪ অক্টোবর: সকাল ১১টায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন; বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)
৫ অক্টোবর: সকাল ১১টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিকাল ৩টায় জাকের পার্টি
৮ অক্টোবর: সকাল ১১টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি); বিকাল ৩ টায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।