মানবিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা রোহিঙ্গাদের পাশে সরকারের দাঁড়ানোটি বিএনপি ভালোভাবে নেয়নি দাবি করে তিনি বলেছেন, “এখন ষড়যন্ত্র চলছে।
“ওরা (বিএনপি) রোহিঙ্গাদের হাতে অস্ত্র, ইয়াবা তুলে দিয়ে এই সাহায্য-সহমর্মিতায় ছেদ ঘটাতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।”
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪ লাখ রোহিঙ্গার জন্য কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র করেছে সরকার। এই মানবিক বিপর্যয়ের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ‘রাজনীতি’ করছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করে আসছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণ বিতরণেও বাধা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে বিএনপি নেতারা দাবি ক্ষমতাসীনদেরই ‘রাজনীতি’ করার পাল্টা অভিযোগ তুলে এই পরিস্থিতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি না করে ‘জাতীয় ঐক্য’ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
শেখ হাসিনা যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে বিশ্ব জনমত গড়ছেন, তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে বিদেশি দূতাবাসে চিঠি লিখে তা ভেস্তে দিতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেন কামরুল।
“এক নেত্রী লন্ডন বসে বিদেশি দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিচ্ছেন। সেই চিঠিতে কী লেখা আছে, তা আমরা কেউ জানি না। বিদেশে বসে খালেদার ভূমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় কামরুল ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
মুরাদ বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি একের পর এক মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। তাদের এসব মিথ্যাচার মোকাবেলা করতে হবে, অন্যথায় জনগণ বিভ্রান্ত হবে। পাড়ায় মহল্লায় বিএনপি-জামাতের কর্মীদের নজরে রাখবেন। তারা যাতে মিথ্যা বলে বেড়াতে না পারে।”
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এই স্মরণসভার সঞ্চালনা করেন এম এ জলিল। শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিক, কৃষক লীগের নেতা এম এ করিম, সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেনও বক্তব্য রাখেন সভায়