মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পদ্ধতিকে দায়ী করে তা বাতিলেরও দাবিও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “দাম বাড়ানোর জন্য সরকারকে কমিশন গঠন করে গণশুনানি করে তথ্য-প্রমাণ দিতে হয়। গণশুনানীর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী কীভাবে দাম বাড়ানোর কথা বলেন? সরকার বিদ্যুত বিক্রি করে যে ১০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে সেই টাকা কোথায় ব্যয় করা হচ্ছে? সরকারের দুর্নীতি-ভুল নীতির কারণে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির দায় জনগণের ঘাড়ে চাপানো চলবে না।”
সিপিবির ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল হক রুবেল বলেন, “এমনিতেই গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে। তার ওপরে আবার সরকার অযৌক্তকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। সামিট গ্রুপসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধির জন্যই এই মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা কমিটির সভাপতি মোসলেউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সিপিবি ঢাকা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী রুহুল আমিন, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সদস্য আখতার হোসেন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদের ঢাকা মহানগরের নেতা জুলফিকার আলী।
সম্প্রতি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই এর কাজ শেষ করেছে। পাইকারিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।