রোববার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের এ কথা বলেন।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার যে সমালোচনা বিএনপি করে আসছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, “আমার কাছে মনে হচ্ছে, সারা দেশের মানুষ এই রোহিঙ্গা সংকটে উদ্বিগ্ন, একটা দল বিএনপি খুশি, কারণ তারা নতুন একটা ইস্যু পেয়েছে।”
রোহিঙ্গাদের বিশাল স্রোত যেভাবে দেশে ঢুকছে- তা নিয়ে সবার ‘চিন্তা করা উচিত’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, “আমাদের দেশ এ বিশাল স্রোতের ভার কীভাবে বহন করবে, সেটা নিয়ে সবার চিন্তাভাবনা করা উচিত। সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত।”
জাতিসংঘ মহাসচিব যে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছে, সে কথাও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনে করিয়ে দেন।
“ভারত একাত্তরের দুঃসময়ে আমাদের পাশে ছিল। আমরা আশা করব, এই দুঃসময়েও আমার ভারতকে পাশে পাব।”
বিএনপি নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, “আমাদের দেশের একটি দল, তাদের টার্গেট হচ্ছে সরকার। মিয়ানমারে যারা অত্যাচার করছে, সেনাবাহিনী অভিযান করছে, নিরীহ মানুষ হত্যা করছে, পুড়িয়ে মারছে, পুশইন করছে- তাদের ব্যাপারে ওই দল কোনো কথা বলে না। তাদের আক্রমণের নিশানা হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার, মিয়ানমার সরকার নয়।”
ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখার সময় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ওবায়দুল কাদের প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের সাথে কথা বলেন। এর মধ্যে অটোরিকশাই বেশি ছিল।
এ বিষয়ে বিআরটিএকে আরও যত্নবান হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এ ব্যাপারে কোনো গাফিলতি সহ্য করা হবে না।… সড়কে যারা নিরাপত্তা চান তাদের তো সড়কের আইন মেনে চলতে হবে। আইন মেনে চলার মনোভাব থাকতে হবে।”