আগত শরণার্থীদের প্রতি মানবিক আচরণ এবং মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, “রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু পরিস্থিতিতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে আমরা ইতিপূর্বে এ ধরনের বিরাট সমস্যার সম্মুখীন হইনি।”
মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে চার দশক আগে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছিল। বাড়তে বাড়তে তাদের সংখ্যা ৫ লাখে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে প্রায় ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জাতিসংঘের হিসাব।
আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহায়তা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আমাদের মতো দেশে আশ্রয় দেওয়া খুবই কঠিন। অপরদিকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের আশ্রয় না দিয়েও পারিনা। তাই আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব- এই আর্তমানবতার পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে এবং তাদের আশ্রয় দিতে হবে, সেবা দিতে হবে, চিকিৎসা দিতে হবে।”
রাখাইনে মিয়ানমার সরকারের আচরণকে ‘বর্বরোচিত’ উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, “মিয়ানমার সরকার তাদের সেনাবাহিনীকে দিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর যে ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে তা আদিম বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এর জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আমি তীব্র ঘৃণা, নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
মিয়ানমার অবিলম্বে এই বর্বরোচিত কার্যকলাপ বন্ধ করে রোহিঙ্গা নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শরণার্থীদের এই চাপ সামলাতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিও আহ্বান জানান এরশাদ।