প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি তরীকত ফেডারেশনের

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণে বঙ্গবন্ধু ও সাংসদদের অপমান ও কটাক্ষ করা হয়েছে অভিযোগ করে এজন্য প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 07:08 PM
Updated : 20 August 2017, 07:08 PM

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বলেন, “ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

“তিনি সামরিক শাসকের ফরমানের মাধ্যমে জারি করা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করেছেন, যা আমরা মনে করি সংবিধানবিরোধী, বাহাত্তরের সংবিধান ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করা হয়েছে।”

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চলাকালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে দেখা করার অভিযোগ করেন নজিবুল বশর।

“তিনি প্রধান বিচারপতির যে শপথ নিয়েছেন, আমরা মনে করি ইতোমধ্যে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। কারণ, যুদ্ধাপরাধের মামলা চলাকালীন সাকা চৌধুরীর পরিবারের সাথে সিঙ্গাপুরে উনি ব্রেকফাস্টে বসেছেন, সেদিনই উনি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। একইসাথে তিনি ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন।”

প্রধান বিচারপতি ‘নৈতিকতা’ হারিয়েছেন মন্তব্য বরে নজিবুল বশর বলেন, “ওই পদে থাকার উনার কোনো অবস্থান নেই। তাই প্রধান বিচারপতিকেই ঠিক করা উচিত, ওই চেয়ারে বসার যোগ্যতা ওনার আছে কি না? আমার মনে হয় উনার শুধু পদত্যাগ কেন, আমি সংক্ষুব্ধ, দায়-দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন, এক ব্যক্তির ডাকে স্বাধীনতা হয়নি বলে তিনি যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন, সাংসদদের যেভাবে অপমান করেছেন, আমার মনে হয় শুধু পদত্যাগ নয়, উনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন বলেও জানান তরীকত ফেডারেশনে প্রধান নজিবুল বশর।

তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করছি, সাংসদদের প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে উনার কোর্টে আমি সংক্ষুব্ধ হয়ে বিচারপ্রার্থী হিসেবে কেইস করতে আগ্রহী। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তিতে বিষয়টি আপনাদের জানাব।”

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে তরীকত ফেডারেশনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ আবু দাউদ মসনভী হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।