রোববার এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “সংবাদপত্রে দেখলাম, সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করবেন। এতদিন পর সরকার এখন সোজা পথে এসেছেন।
“আমি বলব, সেটাই যদি হয়, তাহলে এতদিন যাবৎ এই আন্দোলন এবং প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশ্লীল বক্তব্য রেখে বিচার বিভাগের যে ক্ষতিসাধন করা হলো তার পরিণতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।”
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে সংসদে আনা সংবিধানের সংশোধন সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করার পর আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে এই রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিএনপি নেতারা।
রায়ের বিরুদ্ধে সরকারি দলের আন্দোলনের ঘোষণাকে ‘ভয়াবহ’ মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, “এ রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও উচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি, মান-সম্মান, মর্যাদা সরকার ধুলিসাৎ করে দিয়েছে।
“যার জন্য আজকে (রোববার) প্রধান বিচারপতি ওপেন কোর্টে বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে সুপ্রিম কোর্ট সরিয়ে দিয়েছে, সেখানে তো কোনো কিছু হয় নাই। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, তারা মেনে নিয়েছেন।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ফেনী আমার ফেনী’ নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোশাররফ হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় মওদুদ বক্তব্য রাখেন।
ওই রায়ের সমালোচনাকারী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনাও করেন বিএনপি নেতা।
“মুন সিনেমা হলের মালিক মামলা করেছে তাদের হল ফেরত পাওয়ার জন্য। কোথায় তার মালিকানা, সেই মালিক এখনও তার মুন সিনেমা হল ফেরত পায়নি। কিন্তু খায়রুল হক পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছেন।
“এই লোকটা (খায়রুল হক) একজন নির্লজ্জ, অনৈতিক ব্যক্তি। প্রধান বিচারপতি হওয়ার কোনো যোগ্যতা তার ছিল না। দলীয় আনুগত্যের কারণে তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল।”
পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল রেখে দেওয়ার পর এখন ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপতি খায়রুল হকের অবস্থানের সমালোচনা করেন ব্যারিস্টার মওদুদ।