আমাদেরও ধৈর্য ধরতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিলের রায় নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে নিজেদের সংযত হওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2017, 11:56 AM
Updated : 20 August 2017, 11:56 AM

অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির বিধিমালা নিয়ে আলোচনার আহ্বানে সরকারের সাড়া না পেয়ে রোববার অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, বিচার বিভাগ ‘যথেষ্ট ধৈর্য’ ধরছে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের তীব্র সমালোচনার মধ্যে থাকা প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কাদের সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাদেরও ‘ধৈর্য ধরতে’ হবে।

“আজকে কী বক্তব্য দিয়েছেন, আমি জানি না। কোনো কিছু না জেনে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ব? আমি বক্তব্যটা আগে জেনে নিই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কথা বলা উচিৎ, কাজ করা উচিৎ।”

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে মন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন।

দেশজুড়ে বন্যার কথা তুলে ধরে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের বলেন, “এই অবস্থায় আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কমেন্ট করা উচিৎ।”

ওই রায়ে সরকারের অসন্তোষ জানাতে প্রধান বিচারপতি এবং পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের, যা রায় পরিবর্তনে চাপের শামিল বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি।

এই বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “পর্যবেক্ষণে (রায়ের) আমাদের দলের একটা অবস্থান আছে। সেটা প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করায় অন্যায়ের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আর তিনি কি বলেছেন তার উপরে কেউ চাপ সৃষ্টি করছে?

“রাষ্ট্রপতি কি চাপ দেওয়ার লোক, রাষ্ট্রপতি কি কারও চাপে বিভ্রান্ত হবেন? আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এই রায় নিয়ে কথা বলতে পারব। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে পারব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলতে পারব- এতে দোষের কী আমি তো জানি না।”

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব তো ধান ভানতে গিয়ে শিবের গীত গাইছেন। আমি বললাম যা, তিনি উত্তর দিলেন উল্টোটা।”

“আমি বললাম যে মাননীয় প্রধান বিচারপতি যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন, সেখানে জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছে এবং উড়ে এসে জুড়ে বসা ব্যানানা রিপাবলিক করার বিষয়ে উল্লেখ আছে।

“আমি তাকে (ফখরুল) বলেছি, এটা নিয়ে আপনারা নীরব কেন? তিনি বলছেন, বিএনপি অবৈধ হলে আওয়ামী লীগও অবৈধ! আপনারাই বলুন উত্তরটা কি সঠিক দিয়েছেন উনি? প্রশ্ন করলাম একটা, উনি সোজাপথে সঠিক উত্তর না দিয়ে ঘুর পথে বাঁকা উত্তর দিলেন।”