জিয়ার নাম কেন বার বার, প্রশ্ন রিজভীর

ঈর্ষান্বিত হয়ে হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমানকে সম্পৃক্ত করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2017, 03:53 PM
Updated : 17 August 2017, 03:53 PM

জাতীয় শোক দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “গতকাল উনি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়াতে চেয়েছেন অনেকের নাম, অনেকের কথা উনি বলার চেষ্টা করেছেন। আপনি জিয়াউর রহমানের কথা বলেন, তার নাম আপনি বার বার টেনে নিয়ে আসেন কেন?

“প্রধানমন্ত্রী আপনি কি ভুলে গেছেন তখন সেনাবাহিনীর প্রধান জিয়াউর রহমান ছিলেন না। তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন, তার করার কী আছে? সেনা প্রধানের কথার বাইরে উনি কী করতে পারেন। আপনার সব ঈর্ষা-ক্ষোভ। আজকে আওয়ামী লীগের চাইতে জনপ্রিয় দল বিএনপি, তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেই ঈর্ষার কারণে বার বার আপনার পিতার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের কথা আপনি বলেন।”

বুধবার জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খুনিরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। এটা একটা বিরাট ষড়যন্ত্র ছিল। দুর্ভাগ্য যে এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত খুনি মোশতাক। আর খুনি মোশতাকের দোসর ছিল জিয়াউর রহমান।

“খুনি মোশতাক অবৈধভাবে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেয়, আর জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে। তার কতটা ঘনিষ্ঠ ছিল যে, তাকেই সেনাপ্রধান হিসেবে সঙ্গে সঙ্গে মোশতাক নিয়োগ দেয়।”

লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চোখে অস্ত্রোপচারের পর তার আরোগ্য কামনায় বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।

আওয়ামী লীগের মধ্যেই শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীরা লুকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

“প্রকৃত হত্যাকারী যারা, তাদের বিষয়ে আপনার কোনো ক্ষোভ নেই। ক্ষোভ শুধু জিয়াউর রহমানের ওপর।”

ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বক্তব্যের সমালোচনাও করেন রিজভী।

দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, জ্যেষ্ঠ নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কেন্দ্রীয় নেতা ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আবদুল মতিন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, এ জে শামসুল হকসহ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।