তিনি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বাড়ি-ঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা কেন করছেন আপনারা (ক্ষমতাসীন)? আপনারা শোক পালন করছেন ,না সন্ত্রাসের উৎসব পালন করছেন।”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির বাইরেও আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
বিএনপি শোক পালন না করে এই দিনটিতে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন করে, যা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের শোক দিবসের কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, “দেশব্যাপী যেভাবে চাঁদাবাজি আপনারা করেছেন, তাতে তো আমি শোকের বৈশিষ্ট্য, নির্দশন দেখতে পাইনি।”
বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ফেনীতে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বাড়িঘরের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ।
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা রিজভী বলেন, বানের পানিতে হাজার হাজার নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ ডুবে যাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ গৃহহারা; আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেই, খাবার নেই, আবার কোথাও আশ্রয়কেন্দ্রও ডুবে যাচ্ছে,।অনেকে মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে।
খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে এক বার্তায় নেতা-কর্মীদের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বন্যাদুর্গত ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বন্যা মোকাবেলায় সরকারি কার্যক্রম ‘দায়সারা’ বলে দাবি করেন রিজভী।
“আওয়ামী লীগের নেতারা বন্যাদুর্গতদের পাশে না দাঁড়িয়ে গণভবন-বঙ্গভবনে দৌড়-ঝাঁপ করছেন। দায়সারা একটি প্রেস রিলিজ দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছেন।”
রায় পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতিকে ‘চাপ’
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন করতে আদালতের পর ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রপতির উপরও চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রিজভী।
রায়ে আপত্তি জানিয়ে ওবায়দুল কাদেরের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করাকে বিচার বিভাগের উপর চাপ হিসেবে দেখছিল বিএনপি। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
রিজভী বলেন, “রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠক শুধু উদ্বেগের নয়, ন্যায় বিচারের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করার অশুভ অপচেষ্টা কি না-এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা বড় সংশয় দেখা দিয়েছে।
“ক্ষমতাসীন দলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতিকে জানাতে যাওয়া ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করা-এটি রায় পরিবর্তন আনতে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জনগনের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।”
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “তিনি অলিম্পিক প্রতিযোগিতার ন্যায় দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন।”