মঙ্গলবার সেতু ভবনে পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন নদীর উপর চারটি সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সংলাপের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করছে বলে সোমবার এক অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সিইসিকে আওয়ামী লীগের লোক বলেও সমালোচনা করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে এর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি আসলে কি চায়, ওটাই আমাদের বোধগম্য নয়।
“এই নির্বাচন কমিশনে তাদেরও একজন পছন্দের মানুষ আছে, তারা একযোগেই কাজ করছে। আওয়ামী লীগের পছন্দের একজন আছেন, তাদেরও পছন্দের একজন আছেন। সিইসি দুই দলের বাইরে অন্য একদলের পছন্দের প্রস্তাবিত নাম।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে আমন্ত্রণ পেলে আমরাও যাব, বিএনপি সংলাপে অংশ নেওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। নির্বাচন কমিশন যদি সংবিধান সম্মতভাবে অগ্রসর না হয় তাহলে আমরাও প্রতিবাদ করব, কিন্তু এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।
“আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তখনই নিরপেক্ষ হবে, যখন বিএনপিকে তারা ৩০০ সিটের গ্যারান্টি দেবে। তার আগে বিএনপিকে খুশি করা যাবে না।”
সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো অভিযোগ আসেনি বলছেন কাদের।
একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তার কার্য্ক্রম শুরু করে। আগামী ১৬ ও ১৭ অগাস্ট হবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ।
নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যর প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্রের উপর কি আকাশ ভেঙে পড়েছে যে তাদের সহায়ক সরকার সংবিধানের বাইরে গিয়ে মানতে হবে।
“যা কিছু হবে সংবিধান অনুযায়ী। কেন বাধ্য হব (বিএনপির দাবি মানতে), আমাদের উপর কী চাপ আছে, কোথায় আছে, জনগণ কি চায়? তার প্রমাণ কী।”