এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দল ‘চার দফায় ক্ষমতায় থাকায়’ মালয়েশিয়া উন্নয়নের এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এবং বর্তমানের আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তুলনা করে প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় বলেন, “আওয়ামী লীগ উন্নয়নের জন্য ক্ষমতায় আসে, আর বিএনপি চায় শুধু ক্ষমতা।”
আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআই’র ‘লেটস টক’ কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এই মতবিনিময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
জয়কে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানান একজন। আগামী বৃহস্পতিবার তার জন্মদিন।
দেড় বছর পর একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এমন সময় তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় করলেন দলীয় সভানেত্রীর ছেলে।
তাদের উদ্দেশে জয় বলেন, “তরুণদের জন্য আমাদের একটাই বার্তা- আমরা দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। এবং তার জন্য আপনাদের আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে।”
আওয়ামী লীগই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আপনার তার ফল দেখতে পাচ্ছেন। সব জায়গায় উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”
প্রশ্নোত্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের অর্জনের ওপর আলোকপাত করেন জয়।
এই অর্জনের জন্য সব মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, “আমরা যা করতে চেয়েছিলাম সেগুলো তারা এগিয়ে নিয়েছে।
“তবে ভবিষ্যতের কোনো সীমা নেই। ভূমি রেকর্ড ডিজিটাইজেশন একটি বড় কাজ হবে। আগামী বছর নাগাদ ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থা ডিজিটালাইজ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”
“আপনাদের সেই দলকে ভোট দেওয়া উচিত যে দল উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে, যে দল দেশের স্বাধীনতা এনেছে।”
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত না হলে এবং আওয়ামী লীগ আরও ২০ বছর ক্ষমতায় থাকলে ‘বাংলাদেশ আজকে মালয়েশিয়ার মতো হত’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পঁচাত্তরের পর যখন শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি সে সময়ে মায়ের সঙ্গে প্রবাস জীবনের নানা স্মৃতিচারণ করেন জয়।
“তখন আমাদের কিছুই ছিল না। আমরা বাংলাদেশে আসতে পারতাম না। সেখান থেকে আজকে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। আমাদের লক্ষ্য জনগণের সেবা করা।”
“আপনারা যেসব ফ্লাইওভার দেখেন, তার সবই আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।
“আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও বাস র্যাপিড ট্রানজিট তৈরিতে কাজ করছি। আমরা রাস্তা সম্প্রসারণ করেছি।”
এসবের বাস্তবায়ন ঘটলে পরিস্থিতি বদলে যাবে বলে মন্তব্য করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
সড়কে প্রাইভেট কার কমাতে স্কুল-কলেজগুলোকে বাস নামানোর পরামর্শ দেন তিনি।
“তাদের প্রকৃত তথ্য জানা দরকার। এটা সুন্দরবন থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে। এটা মাপা যায়। আপনারা মেপে দেখতে পারেন।
“আওয়ামী লীগ কেন এমন প্রকল্প নেবে, যা দেশের ক্ষতি করতে পারে?,” ব্যাপক করতালির মধ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
উপস্থিত একজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন নিয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আমি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পড়ি না।”
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ‘ষড়যন্ত্রের’ কারণে প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন জয়।
“ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম তা স্বীকার করেছেন।”
সরকারবিরোধী অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে জানাতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।