সাংবিধানিক অধিকার এখন বাকশালী খাঁচাবন্দি: রিজভী

সভা-সমাবেশ করার সংবিধানিক অধিকারকে সরকার ‘বাকশালী খাঁচায়’ বন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2017, 05:32 PM
Updated : 24 July 2017, 05:32 PM

তিনি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা বলতে চাই, সংবিধানে সকল দলের সভা-সমাবেশ করার অধিকার আছে, সাংবিধানিক সেই বিধান আপনারা (সরকার) মানছেন না। সেই সাংবিধানিক অধিকার আপনারা বাকশালী খাঁচায় বন্দি করে রেখেছেন।

“অর্থাৎ নিজেদের মতো করে সংবিধানকে দুমড়ে-মুচড়ে হাতের মুঠোয় রেখে যখন যতটুকু ব্যবহার করা দরকার ততটুকুই করছেন, যতটুক সংবিধান বিদ্যমান আছে।”

সিইসি কে এম নুরুল হুদার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “নির্বাচনের অসমতল মাঠ সমতল করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই কাজটি তিন মাসে করতে পারা কখনোই সম্ভব নয়, এটি এখন থেকে শুরু হওয়ার কথা। অথচ সিইসি বলেছেন, তফসিল ঘোষণার পর সেটি দেখবেন।”

রিজভী আবারও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।

“আপনি (সিইসি) পূর্ব থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিকট আত্মা বিক্রি করে দিয়েছেন। আপনি ভোটারবিহীন সরকারের হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করছেন।”

তারেক রহমানকে নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা বলেন, “ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সকল নির্যাতনকে ধারণ করে দুই বছর এদেশেই ছিলেন, কারাবন্দি ছিলেন, নির্যাতন সয়েছেন।

“মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সাথে আতাঁত করে আপনাদের নেত্রীর মতো বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাননি। এই সাহসের দৃষ্টান্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের। এই দৃষ্টান্ত থেকে আপনারা কিছু শিখুন।”

নোয়াখালীর সেনবাগের সদ্যকারামুক্ত নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের সংবর্ধনা সভায় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও গ্রেপ্তার, ভোলার লালমোহনের গৌড়নগর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করীমসহ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়ি আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলা, টাঙ্গাইল ও চট্টগ্রামের হাটাজারীতে দলীয় সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সভায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার নিন্দা জানান রিজভী।

নয়া পলটনে এই সংবাদ সম্মেলনে এজেডএম জাহিদ হোসেন, কবীর মুরাদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু উপস্থিত ছিলেন।